সারাদেশে চলা পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। চাঁদপুরের মেঘনায় জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে এ ধর্মঘট ডাকা হয়। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহা আলম এই ঘোষণা দিয়েছেন।

জাহাজে ৭ খুনের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌযান পরিবহনের চাঁদপুর নৌসংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শ. আ. মাহফুজ উল আলম মোল্লা বলেন, নৌযান শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে যে ধর্মঘট করেছেন, তা স্থগিত করেছেন। শনিবার সন্ধ্যা হতে রাত পর্যন্ত নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ইউছুফ। তিনি আশ্বাস দেন নিহতের ক্ষতিপূরণসহ মামলাটি ভালোভাবে তদন্তসহ নৌযান শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করা হবে। আর এ আশ্বাসে নৌযান শ্রমিকরা তাদের ধর্মঘট স্থগিত করেন।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ধর্মঘট স্থগিতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছি এবং কিছু আশ্বাস পেয়েছি। তা কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেদিকে নজর রাখব। এখন থেকে জাহাজ চলাচল এবং লোডিং-আনলোডিং চলবে।’’

শ্রমিকেরা ৭ খুনের সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তার, নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, আহত জুয়েলের উন্নত চিকিৎসা, চাঁদাবাজি বন্ধ এবং নৌপথের শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে চাঁদপুরে সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন করে আসছে।